কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে সংশোধনী
ক্যাপাসিটি পেমেন্ট এবং বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সামিটের ভূমিকা স্পষ্ট করা প্রয়োজন
(ঢাকা) ১৪ মে ২০২৫, বুধবারঃ গত ১৩ মে ২০২৫ তারিখে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (https://www.kalerkantho.com/
প্রথমত, ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কোনো ভর্তুকি নয়। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মডেল, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগকে টেকসই ও অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব করে তোলে—বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এই পেমেন্টের মাধ্যমে স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদকরা (IPP) তাদের স্থায়ী ব্যয়—বিশাল মূলধনী বিনিয়োগসহ—উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশে যেখানে প্রকল্পের প্রাথমিক ঝুঁকি বেসরকারি খাতকেই নিতে হয়, সেখানে এই ধরনের অর্থনৈতিক মডেল ছাড়া কোনো বিনিয়োগকারীই দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।
সামিট গ্রুপ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) করেছে—শুধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এই বিনিয়োগ এসেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়, যাদের শর্ত অনুযায়ী নির্ভরযোগ্য এবং পূর্বনির্ধারিত রাজস্ব প্রবাহ থাকা আবশ্যক। ক্যাপাসিটি পেমেন্টই সেই অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দেয়, যার মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক ঋণ সুবিধাগুলো বাংলাদেশে আনা সম্ভব হয়েছে।
উক্ত প্রবন্ধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবহেলিত হয়েছে—বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর দক্ষতা ও নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ (O&M) প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান। সামিট বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক O&M ঠিকাদারদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামিট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে—উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, লোডশেডিং কমানো এবং শিল্পায়নের ভিত্তি সুদৃঢ় করার মাধ্যমে। প্রতিটি প্রকল্প কঠোর নিয়ন্ত্রক তদারকির অধীনে পরিচালিত হয় এবং বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাস্তবায়ন করা হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট একটি অবিচ্ছেদ্য অর্থনৈতিক উপাদান, যা বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারিভাবে নির্ধারিত পরিকাঠামো লক্ষ্যের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে। সামিট বিশ্বাস করে, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করে তোলা সম্ভব।
আমরা সকল অংশীজনের সঙ্গে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনায় সদা প্রস্তুত, যাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।